গাজীপুরের কোনাবাড়ি ও কাশিমপুর এলাকায় আবারও বেতন বৃদ্ধির দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন পোশাক শ্রমিকরা।


 বিক্ষোভ এমন পর্যায়ে পৌঁছে যে শ্রমিকরা দুটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। মঙ্গলবার সকালে কাশিমপুর এলাকা থেকে এ বিক্ষোভ শুরু হয়।


 মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে কোনাবাড়ী ও কাশিমপুর এলাকার অসংখ্য গার্মেন্টস শ্রমিক মিছিল করে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে অবরোধ করে, কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আশরাফ উদ্দিন ঢাকা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন।


 বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জবাব দেয়। পরে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা দুটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত চার শ্রমিক।


 খবর পেয়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ, বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) ও র‌্যাব (র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন) দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্ষতিগ্রস্ত সড়কে যান চলাচল শুরু হয়েছে। ঘটনার পর থেকে কোনাবাড়ি ও কাশিমপুর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।


 গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানিয়েছেন, বেতন বৃদ্ধির দাবিতে উত্তেজিত শ্রমিকরা দুটি বাসে আগুন দিয়েছে।


 কাশিমপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।


 আগুনে বাস দুটির সিটসহ কিছু অংশ পুড়ে গেছে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।


 গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (ডিবি অ্যান্ড মিডিয়া) ইব্রাহিম খান বলেন, সহিংসতার আরও প্রাদুর্ভাব এড়াতে সড়কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে।


 সকালে কোনাবাড়ি এলাকার স্ট্যান্ডার্ড গার্মেন্টস লিমিটেড, রিপন নিটওয়্যার লিমিটেড, ইসলাম গার্মেন্টস, বেস্টল সোয়েটারসহ বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা ২৩ হাজার টাকা বেতনের দাবিতে কাজ করেনি। কাশিমপুরের জারুন, জিতা মোড়, হাতিমারা এলাকায় প্রায় ৪,০০০-৫,০০০ শ্রমিক বিক্ষোভ করে।





 বিক্ষোভের পর কায়সার নিটওয়্যার লিমিটেড, মন্টেক্স ফেব্রিক্স লিমিটেড, কটন ক্লাব বিডি লিমিটেড, তাসনিয়া ফেব্রিক্স, মাল্টিফ্যাবস লিমিটেড, আলিম নিট (বিডি) লিমিটেড, মিতালি ফ্যাশন লিমিটেড, এমপি সোয়েটার লিমিটেড, ডিবিএল গ্রুপ, জিএমএস কম্পোজিট লিমিটেডের মতো কারখানা কর্তৃপক্ষ। , রিয়াজ নিট ওয়্যার লিমিটেড, এবং কটন ক্লাব ইউনিট-২, ছুটি ঘোষণা করেছে।


 নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পোশাক কারখানার কর্মী বলেন, "কে আগুন লাগাচ্ছে আমরা জানি না। আমি মঙ্গলবার সকালে কাজে এসেছি। দারোয়ান আমাকে বাসায় যেতে বলেছে। কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, একটা ঘটনা ঘটেছে। গতকাল। আজকেও সমস্যা হতে পারে তাই কর্তৃপক্ষ ছুটি ঘোষণা করেছে।”